ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিল্প-কৃষি ও বাণিজ্যের সমন্বিত উন্নয়ন বজায় রাখতে হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
শিল্প-কৃষি ও বাণিজ্যের সমন্বিত উন্নয়ন বজায় রাখতে হবে বক্তব্য রাখছেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ছবি: বাংলানিউজ

নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প (জিপিইউএফপি) পরিদর্শন করেছেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।  

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তারা প্রকল্পটি পরিদর্শন করে আলোচনাসভায় অংশ নেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, উন্নয়নের অঙ্গীকার সমুন্নত রাখতে শিল্প, কৃষি ও বাণিজ্যের সমন্বিত উন্নয়ন বজায় রাখতে হবে।

ঐক্যবদ্ধ উন্নতি না হলে জনগণের মৌলিক চাহিদা পুরণে সরকারের অঙ্গীকার পূরণে বাধা হবে।  

এসময় দেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।   
 
তিনি আরও্র বলেন, আমাদের বছরে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি করতে হয়। জিপিইউএফপি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমদানি নয় বরং আমরা সার রপ্তানি করতে পারবো। বর্তমানে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় ইউএফএফএল ও পিইউএফএল নামের দু’টি সার কারখানা রয়েছে। এ দু’টি কারখানায় প্রতি টন ইউরিয়া উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার, ডাউন টাইম এবং রক্ষণাবেক্ষণ পুনরাবৃত্তির হার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিসিআইসি পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার স্থলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিল্ডার ফাইন্যান্স পদ্ধতিতে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন (বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন) গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সার কারখানা স্থাপন করা হবে। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির আগামি জুনে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্রমবর্ধমান ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সুলভ মূল্যে কৃষকদের কাছে ইউরিয়া সারের সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ইউরিয়া সারের আমদানি হ্রাস করে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা এবং দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব হবে। এটাই বাংলাদেশে প্রথম সার কারখানা যেখানে পরিবেশ দূষণকারী কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে গ্রহণ করা হবে এবং এ গ্যাস ব্যবহার করে শতকরা ১০ ভাগ ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।  

জিপিইউএফপি প্রকল্প পরিচালক মো. রাজিউর রহমান মল্লিকের  সভাপতিত্বে পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহন, বিসিআইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূইয়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জিয়াউর রহমান খান, নরসিংদী পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুল, ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরীফুল হক, মনোহরদী পৌর মেয়র আমিনুর রশীদ সুজন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীসহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ