শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে মঠবাড়িয়া গ্রামের নির্মল চাঁদ সাধু ঠাকুর বাড়ির শ্রী শ্রী হরি মন্দির প্রাঙ্গনে শুরু হওয়া এ পূজা অনুষ্ঠান সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে। তবে তিনদিনের এ পূজা অনুষ্ঠান সোমবার শেষ হলেও আগামী এক সপ্তাহ জুড়ে এখানে চলবে উৎসবের আমেজ।
মন্দিরের সেবায়েত শ্রী সন্তোষ মিস্ত্রী বাংলানিউজকে জানান, গত ২৮ বছর ধরে সরস্বতী পূজার একদিন আগে এ ঐতিহ্যবাহী কালি পূজা শুরু হয়ে টানা তিনদিন উৎসব চলে। ১৯৯০ সালে তিন ফুট উচ্চতার কালি প্রতিমা দিয়ে এ মন্দির প্রাঙ্গনে পূজা শুরু হয়। প্রতিবছর প্রতিমার উচ্চতা বাড়তে বাড়তে এবার ৯০ ফুটের প্রতিমা নির্মিত হয়। এছাড়া ৯৫ ফুট লম্বা মহাদেবের প্রতিমাও নির্মাণ করা হয়। এ কালি পূজা উৎসব ঘিরে উৎসবস্থলে মেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কালি পূজার আয়োজক হরিচাঁদ ঠাকুর মন্দিরের ধামকর্তা শ্রী নির্মল চন্দ্র চাঁদ ঠাকুর বাংলানিউজকে জানান, ২৮ বছর ধরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনশ্রুতি রয়েছে একবার গায়ে জলবসন্ত রোগে মহামারী দেখা দেয়। এসময় গায়ের মানুষ এ রোগে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেশকিছু মানুষের প্রাণহানিও ঘটে। হরি মন্দিরের সেবায়েত স্বপ্নে কালি পূজা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা পান। এরপর কালি পূজার আয়োজন করা হয়। এ পূজার প্রসাদ খেয়ে সেদিন জলবসন্তের মহামারি থেকে গ্রামবাসী আরোগ্য লাভ করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর এ কালি পূজা করা হয়।
প্রতিমার প্রধান কারিগর বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ভাস্কর নিত্যানন্দ হালদার বাংলানিউজকে জানান, গত ১৬ বছর ধরে প্রতিবছর এখানে এ কালি প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। এ বছর তিনি ৯০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা নির্মাণ করেছেন। প্রতিমা নির্মাণে বাঁশ, নলের কঞ্চি, মাটি, কাঠের গুড়ি ও খড় ব্যবহার করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান বলেন, এশিয়ার মধ্যে আর কোথাও এত বড় উচ্চতার কালি প্রতিমার পূজার আয়োজন করা হয় কিনা আমাদের জানা নেই। এটাই এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এনটি