সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শহীদ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর বিবিসি বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরজু ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের এমদাদুল হক টুলু বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, আরজুর নামে আগের একটি অস্ত্রসহ দু’টি মামলা রয়েছে। সোমবার তাকে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া দুপুরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আরজুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বাড়ি তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনিই এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বলে স্বীকার করেন। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দেন। যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এসআরএস