বিশেষ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নিপীড়ন ও যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের বিশেষ সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে ঢাকা সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এ প্রশংসা করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া বাংলাদেশের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যথাযথভাবে এ মানবিক সাহায্য চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি ধর্ষণ এবং যৌন সহিসংতার শিকার রোহিঙ্গা নারীদের মানসিক ট্রমা দূর করতে আরো বেশি মানসিক ও সামাজিক সহায়তা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাহায্যের পরিধি বাড়াতে জাতিসংঘ সহায়তা ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের কাজ করছে। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা এবং মিডওয়াইফারি কার্যক্রম জোরদার করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে বাস্তুচ্যুতদের বাংলাদেশের আশ্রয় দিয়ে দ্রুততম সময়ে বাসস্থান, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করায় বিশ্ব নেতারা প্রশংসা করেছেন। কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদ ও অধিক জনসংখ্যার রাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে অতিরিক্ত দশ লাখের বেশি মানুষের জন্য এই সেবা দীর্ঘদিন অব্যাহত রাখা দুরূহ কাজ। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে মিয়ানমার নাগরিকদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেন জাহিদ মালেক। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবায় জাতিসংঘের সাহায্য অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) বাবলু কুমার সাহা, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে ইউএনএফপি এর প্রতিনিধি ড. আসা টোরকেলসনসহ, মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমএএম/এমআইএইচ/জেডএস