সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, উচ্ছেদ অভিযানের পরে আবার আগের স্থানে এসে দোকান নিয়ে বসেছে দোকানদাররা।
পথচারী শেলী মণ্ডল বলেন, আমার দু’টি বাচ্চা ড্যাপস স্কুলে পড়ে। তাদের আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন চার থেকে ছয়বার যাতায়াত করতে হয় আমাকে। তখন কি সমস্যায় পড়তে হয় আমি জানি। বাচ্চা ফুটপাতে যখন হাঁটে তখন কেউ সাইড দেয় না। এখান দিয়ে পথ চলতে বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে চাই, আমাদের সমস্যার কথা।
দোকানদার লিটন বলেন, ফুটপাতে বসা অবৈধ আমরা জানি। আমাদের কর্মসংস্থানের যদি সরকার ব্যবস্থা করতো, তাহলে আমরাও ফুটপাতে বসতাম না। কাজের কারণেই আমাদের এখানে বসা। আমাদের যদি কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বসতে দেওয়া হতো, তাহলে ফুটপাত দখল করে বসতাম না।
চা দোকানদার স্বপ্না বেগম বলেন, ফুটপাতে আমার চায়ের দোকান ছিল। অভাবের তাড়নায় এখানে দোকানদারি করতাম। জানি আমরা অবৈধভাবে ফুটপাতে দোকানদারি করছিলাম। এখন কি করবো বলতে পারছি না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুর-১ নম্বরে শাহ আলী মাজার সংলগ্ন এলাকার আশপাশের মার্কেটগুলোর সামনে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় ৩০০ থেকে ৪০০ দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আজ আমাদের সঙ্গে ছিলেন প্যানেল মেয়র মোস্তফা জামান। আমাদের উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর-১০ নম্বরে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, যতক্ষণ উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে, ততক্ষণ উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ চলমান থাকবে। ঢাকা দখলমুক্ত করবো। সবকিছু পরিষ্কার করে ফেলবো। হকারদের জন্য আমাদের পরিকল্পনা আছে। প্রক্রিয়াধীন আছে। সন্ধ্যাকালীন ও হলিডে মার্কেট করার পরিকল্পনা আছে। কোথায় করলে জনগণের জন্য সুবিধা হবে, সেই জায়গা আমরা খুঁজছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমএমআই/আরবি/