সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সুপারের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দীকীকে নিয়ে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেন পুলিশ সুপার।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। দিনভর প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ওই তরুণী পুলিশ সুপারের কাছে যে অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই তরুণী সাটুরিয়া থানায় এসআই সেকেন্দার ও এএসআই মাজহারুলকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করবেন সাটুরিয়া থানার (ওসি-তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
সাটুরিয়া থানার ওসি আমিনুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার ও এএসআই মাজহারুল বর্তমানে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার ঢাকার আশুলিয়া থানায় কর্মরত থাকার সময় এক নারীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়ে জমি কেনেন। কথা ছিল জমি বেচার পর লাভসহ তাকে আসল টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন।
এরপর সাটুরিয়া থানায় বদলি হয়ে আসার পর সেকেন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রতিবেশী ভাগ্নিকে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় আসেন ওই নারী। এরপর সেকেন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে টাকা দেবে বলে তাদের সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে নিয়ে যান।
সন্ধ্যার পর সাটুরিয়া থানার এএসআই মাজহারুলকেও ডাকবাংলোতে নিয়ে যান সেকেন্দার। সেখানে ডাকবাংলোর একটি কক্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াবা সেবন করেন ও তার সঙ্গে আসা ওই তরুণীকে জোর করে ইয়াবা সেবন করান। এভাবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তরুণীকে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
কেএসএইচ/আরবি/