সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন আবেদন করলে বিচারক খোন্দকার হাসান মোহাম্মদ ফিরোজ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কুর্মিটোলা ঢাকার সাবেক সহকারী পরিচালক (ই/এম) ভবেশ চন্দ্র সরকার, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক ম্যানেজার মো. হাসান জহির, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কুর্মিটোলা ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শহীদুল অফরোজ।
এ মামলার আরেক আসামি কক্সবাজার বিমানবন্দরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক (ই/এম) শহীদুল ইসলাম মণ্ডল আদালতে হাজির হননি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য একটি ৩০০ কেভিএ জেনারেটর কেনার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তা ও ঠিকাদাদের যোগসাজশে জেনারেটর না কিনেই ক্রয় দেখিয়ে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চলিত বছরের ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চল-২ এর উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
দুদকের পিপি মো. আবদুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালত অভিযুক্তদের চার সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে একই সঙ্গে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার পাঁচ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে তাদের পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট নূরুল মোস্তফা মানিকের নেতৃত্বে ২০ জনের বেশি আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এনটি