এর আগে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পিডিবির সাধারণ সম্পাদক ও তৃতীয় শ্রেণির অবসরপ্রাপ্ত কর্চামচারী আলাউদ্দীন মিয়ার কাছ থেকে আরো একটি পাজেরো গাড়ি উদ্ধার করে দুদক।
অবসরে গিয়েও সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন সিবিএ নেতা
অবসরে গিয়ে এবং গাড়ি প্রাপ্য না হয়েও কিভাবে তারা গাড়ি পেলেন, কে তাদের বরাদ্দ দিলো, রাষ্ট্রের সম্পদ কিভাবে নষ্ট হলো, তা উদ্ধার এবং তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে খোঁজ নিতে কাজ করছে দুদক।
দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে ও দুদকের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিডিবি কর্তৃপক্ষ সাদা রঙের পাজেরো জিপ (সিলেট-ঘ ০২-০০৩৩) দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে উপস্থাপন করে।
এ সময় দুদক মহাপরিচালক গাড়িটি পরিদর্শন করেন। গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হচ্ছিলো। চালকের উপস্থাপিত তথ্যে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে গাড়িটি সিবিএ সভাপতি, সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর হস্তগত ছিল এবং দৈনিক ১৫ লিটার জ্বালানি তেল হিসেবে মাসিক ২৯ হাজার ২৫০ টাকা গাড়িটির পেছনে খরচ হয়েছে। গত ১০ বছরে জ্বালানি বাবদ গাড়িটিতে খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এছাড়াও গাড়িচালকের বেতন ও ওভারটাইম বাবদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা এবং মেরামত ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে গত ১০ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা গাড়িটির জন্য ব্যয় করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত দুই দিনে দুদকের হস্তক্ষেপে পিডিবির দুটি মূল্যবান গাড়ি সিবিএর অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করা হলো বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য্য।
এ ব্যাপারে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা অবশ্যই সরকারি আর্থিক ক্ষতি সাধন, যা দুদক আইনে অপরাধ। শিগগিরই দুদক এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ