মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত কনক রাজাপুর স্নাতক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ওই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি কদমতলা গ্রামের তালেব বিশ্বাসের ছেলে।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী তার বাবার সঙ্গে বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়মাটি কদমতলা গ্রামে দুলা ভাই ফিরোজ হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ফিরোজ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আর বাড়িতে ওই ছাত্রীর বোন একা থাকেন। এ অবস্থায় মেয়েকে রেখে তার বাবা বাড়িতে চলে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যার দিকে ফিরোজের বৈমাত্রিক ভাই কনক বিশ্বাস সবার অগোচরে ওই স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে প্রতিবেশী রতনের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায় তার চিৎকারে প্রতিবেশীসহ ওই ছাত্রীর বড়বোন এসে তাকে উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মেয়েটি বাবা তাকে নিয়ে বড়াইগ্রামের ইউএনও আনোয়ার পারভেজের কার্যালয়ে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের থানায় পাঠান এবং ওসিকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এছাড়া ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার-নিরীক্ষা প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
জিপি