মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে গলায় ফাঁস দেয় ওই শিশু। পরে প্রতিবেশীরা রিমাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিশু ফরিদপুরের সালতা উপজেলার শিহিপুর গ্রামের দিনমঞ্জুর আওলাদ হোসেনের ৪ সন্তান। বড় দুই বোনের সঙ্গে সবুজবাগ মাদারটেক সরকারপাড়া এলাকায় টিনসেট বাড়িতে থাকতো শিশুটি।
রিমার বড় বোন সোমা বলেন, “আমরা ও আমার বোন রুমা মালিবাগে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি। ছোট বোন রিমা আমাদের কাছেই থাকতো। বেশ কয়েক মাস আগে তাকে গ্রাম থেকে আমরা ঢাকায় নিয়ে এসেছি। সে তখন গ্রামের একটা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো। ঢাকায় তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার কথা ছিলো। জানুয়ারি মাস চলে গেলো, ফেব্রুয়ারি মাস চলে যাচ্ছে, তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেই নাই কেন— এই নিয়ে গতকাল রাতে রিমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তাকে আমি বলি আমার ছুটি নেই। ছুটি হলে একদিন তোকে নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দেবো। তখন রিমা আমাদের বলে, স্কুলে ভর্তি করার আর সময় নেই। কাল সকালেই তোমরা দেখবা আমি কী করি! তখন তার এই কথা আমরা বুঝতে পারিনি। আজ অফিস থেকে লাঞ্চের সময় বাসায় এলে জানতে পারি আমাদের ছোট বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আশপাশের লোকজন তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে এসে বোনের লাশ দেখতে পাই। ”
অন্যদিকে রাজধানীর বংশালে হোসনি দালান সিয়াগলি এলাকায় সোহেল (২২) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেননি প্রতিবেশীরা।
সন্ধ্যার দিকে সোহেলকে উদ্ধার করে চকবাজার থানার এক পুলিশ কনস্টেবল ও প্রতিবেশীরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোয়া ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে এসে এক প্রতিবেশী সৈয়দ আলী জানান, সিয়াগলিতে একটি বাড়ির নিচতলায় গত দুই মাস আগে তার পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতো সোহেল।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান জানান, মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এজেডএস/এমজেএফ