তিনি বলেন, গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন সংবিধানের প্রণেতা হয়ে কীভাবে বলেন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না? নির্বাচিতদের শপথ না নেওয়ার কথা বলাই তো সাংবিধানিক অপরাধ।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ আরও বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আন্দোলনের নামে ৯৩ দিন ধরে দেশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন। এটা দেশবাসী ভুলে যায়নি।
‘এবারের নির্বাচনে তারই প্রভাব পড়েছে। বিএনপি বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে। বিএনপির এখন নেতা হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। যিনি জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত। এই নির্বাচনে বিএনপি ও গণফোরাম থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন ড. কামাল হোসেন বললেন তারা শপথ নেবেন না। তিনি একজন আইনজীবী, সংবিধান প্রণেতা। তিনি কি করে বললেন নির্বাচিতরা শপথ নেবেন না। ’
উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। এই মনোনয়ন বাণিজ্যও দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। তাই তাদের ভরাডুবি হয়েছে। উপাধ্যক্ষ শহীদ বলেন, আমি বিএনপিকে বলবো, আন্দোলন মোবাইল দিয়ে হয় না। রাস্তায় নেমে পুলিশের বাড়ি না খেলে আন্দোলন হয় না। আর বিএনপি কীভাবে মাঠে নামবে? তাদের সামনে কোনো দাবি বা ইস্যুই নেই। বিএনপিকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের কাছে যেতে হবে।
বক্তব্যে তিনি চা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের বেতন ও মজুরি বাড়ানো জরুরি। আমি আশা করি মালিকপক্ষ চা শ্রমিকদের বেতন ও মজুরি আরও বাড়ানোর দিকে নজর দেবেন।
দেশে বেকার ২৬ লাখ ৭৭ হাজার
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এসকে/এএ