নিহত আরিফুর রহমান আরিফ উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আব্দুল কাদির খোকনের বড় ছেলে এবং স্থানীয় মুন্সীরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার এক প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফ মারা যান।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত আরিফের সঙ্গে দীর্ঘ তিনবছর ধরে পাশ্ববর্তী বারাইশ পশ্চিম পাড়ার সফিকুর রহমানের মেয়ে লিমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আরিফ মুন্সীরহাট বাজারের ছাত্রাবাস থেকে কোচিং শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় প্রেমিকা লিমা ফোন করে তাকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে লিমার বাড়িতে অবস্থান নেওয়া দুর্বৃত্তরা তার উপর আক্রমণ করে এবং মাথায় গুরুতর আঘাত করে। ওই দিন রাতে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠালে পরিবারের সদস্যরা তাকে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যায় পরিবার। পরে ধানমন্ডি নর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) টানা তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে আরিফের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বাদ আছর জানাজার নামাজ শেষে আরিফের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের চাচা রবিউল জানান, আরিফ-লিমার প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে গত পাঁচ-ছয় মাস আগে লিমার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় আরিফের মা। এসময় লিমার বাবা আরিফের পরিবারের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিবারের চাপে লিমাও আরিফের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানে। কিছুদিন আগে অন্য জায়গা থেকে লিমার বিয়ের জন্য আসলে অজানা কারণে লিমার বিয়েটি ভেঙে যায়। বিয়ে ভাঙার ঘটনায় আরিফকে দায়ী করে লিমার পরিবার বিভিন্ন সময় আরিফকে হুমকি দিয়ে আসছিল বলে দাবি করে আরিফের স্বজনরা।
চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ত্রিনাথ সাহা বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করেছে। নিহতের পরিবার এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এএটি