দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলছিলেন কথাগুলো।
তবে ভয়াবহ এ ট্রাজেডিতে অসংখ্য প্রাণের সঙ্গে নিভে গেলো নোয়াখালীর এই দুই ভাইয়ের প্রাণ।
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাটা পট্টির আজগর লেনেই ঘটে গেলো একুশের রাতে ভয়াবহ ট্রাজেডি। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে সড়কে একটি গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত, বলছেন স্থানীয়রা। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে বলা সম্ভব নয়।
নিহত ৭০ জনের মধ্যে ৪১ জনের মরদেহের পরিচয় মিলেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পোস্টমর্টেমসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করেই মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা বলছেন, চকবাজার শাহী মসজিদ লাগোয়া ভবনে ফার্মেসির ব্যবসা করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ড. জাহিদ হোসেনের ভাগনা হায়দার। নিজের নামেই ছিল প্রতিষ্ঠানের নাম হায়দার ফার্মেসি। নিজ ফার্মেসিতে পুড়ে মারা যান হায়দার।
দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজার এলাকায় নোয়াখালীর লোকজনই বেশি ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। ওয়াহিদ ভবনে যারা মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশের বাড়িই নোয়াখালী অঞ্চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
টিএম/এএ