সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনে কার্যক্রম শুরু হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিঠা পানির মাছকে রক্ষায় মৎস্য অধিদফতর কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছের একক ও মিশ্র চাষের সম্প্রসারণ, কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া প্রচলিত স্বল্প মেয়াদী রাজস্বভিত্তিক ইজারা প্রথার স্থলে জলাশয়ে পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞানসম্মত উৎপাদনভিত্তিক জৈব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী খসরু বলেন, মুক্ত জলাশয়ে বিগত ৫ বছরে ৫৩৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৫০০ মেট্রিক টন পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
‘মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪। বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৮ প্রজাতির মাছ যথা-বাটা, সরপুটি, ভাঙ্গনা, কালিবাউশ, গনিয়া, মহাশোল, পাবদা, গুলশা, শিং মাগুর, ভেদা, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, কুচিয়া, ট্যাংরা ও গুতুম এর প্রজনন ও চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ’
মিঠা পানির মাছের মধ্যে বাইম, বৈরালী ও গজার মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসকে/এমএ/