সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার খুজিউরা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খুনের অভিযোগে সাবেক স্বামী মফিজুল ইসলাম ওরফে কালুকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৪ বছর আগে খুজিউরা গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে শহিদার (২৭) সঙ্গে বিয়ে হয় পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লার আমির হোসেনের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) ওরফে কালুর। কালু পেশায় একজন রিকশাচালক। সংসার জীবনে তাদের একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।
কালু বছরের বেশিরভাগ সময় ঢাকায় মানিকনগর বস্তিতে থেকে রিকশা চালাতেন। এ সময় তার পরিচয় হয় আরেক রিকশাচালক একই উপজেলার কোন্নগর গ্রামের আরমান আলীর ছেলে বাবুলের সঙ্গে (৩৫)। বাবুলও বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে সখ্যতা। মাঝেমধ্যেই বাবুল কালুর সঙ্গে তার বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। এই সুযোগে বাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কালুর স্ত্রী শহিদার। একপর্যায়ে মাসখানেক আগে শহিদা কালুকে তালাক দিয়ে বাবুলকে বিয়ে করেন। সন্তানদের কালুর বাড়িতে রেখে শহিদা খুজিউরা গ্রামে তার মামা মোস্তফার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
ঘটনার রাতে ক্ষুব্ধ কালু শহিদার বাড়ির শিম গাছের ঝোঁপে ওৎ পেতে থাকেন। রাত দেড়টার দিকে শহিদা ও বাবুল প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে, কালু ছুরি দিয়ে শহিদাকে আঘাতের চেষ্টা করেন। এ সময় বাবুল তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে কালু। শহিদা কালুকে ঝাপটে ধরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেন এবং বাবুলকে নিয়ে হাসপাতালের পথে রওনা দেন। পথেই বাবুলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ কালুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাবুলের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, খুনের অভিযোগে কালুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের ব্যাপারে কালু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, গত তিন দিন ধরে বাবুলকে খুন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
আরএ