এর ফলে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর ও বরিশাল নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট আকারের সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনিছুর রহমান জানান, আকাশে মেঘমালা জমে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দুপুর ২টা থেকে ঝড়ো বাতাস ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে ৬৫ ফুটের নিচে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সকাল থেকে বরিশাল-ভোলা-কালিগঞ্জ রুটে ৬৫ ফুটের নিচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তাছাড়া উপকূলীয় এলাকা হিসেবে পরিচিত বরিশাল-ইলিশা ও মধুচৌধুরীর হাট রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। তাই সকাল থেকে ওই রুটের ছয়টি যাত্রীবাহী নৌযানের একটিও ছেড়ে যায়নি। আবহাওয়ার পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলবে। তবে বরিশাল-ঢাকাসহ দূরপাল্লার রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে তাদের বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও দুপুর ২টার পর থেকে অঝোরে বৃষ্টির কারণে নগরীসহ দক্ষিণা জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। শহরে জনসাধারণের চলাচল কমে গেছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই দুপুর ১টার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএস/আরআর