তথ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জারি করা প্রেসনোটে বলা হয়েছে, লবণ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য অধিদপ্তর প্রেসনোট জারি করে। লবণের বিষয়ে জারি করা প্রেসনোটে বলা হয়, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে গুজব ছড়ানোয় লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি দেশে লবণের প্রাপ্যতা নিয়েও গুজব ছড়ানোর একটি অপচেষ্টা চলছে।
‘ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং ডিসেম্বর মাসেই দেশে নতুন লবণ উৎপাদিত হয়ে বাজারে আসবে। বর্তমান মজুদের সঙ্গে যোগ হবে নতুন উৎপাদিত লবণ। ফলে দেশে লবণের কোনো সংকট নেই বা এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই। ’
গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সরকারের প্রেসনোটে।
এতে বলা হয়, লবণ নিয়ে কিংবা অন্য কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা মহল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য যে কোনোভাবে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লবণ নিয়ে গুজব এড়াতে সরকারের প্রেসনোট জারির বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার।
এরআগে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানায়, দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিকটনের বেশি ভোজ্যলবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণচাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিকটন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন লবণ মজুদ রয়েছে।
লবণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি কন্ট্রোলরুম খুলেছে। নম্বর ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড ফোন), ০১৭১৫-২২৩৯৪৯ (সেল ফোন)।
লবণ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, লবণের দাম বাড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা দিতে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ