মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর তাকে আটক করা হয়। সোহেল ওই বৃদ্ধার পালক ছেলে বলে জানা গেছে।
এর আগে সন্ধ্যায় মিরপুর-২ এর ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসার চারতলা থেকে বৃদ্ধা রহিমা বেগম (৭০) ও গৃহকর্মী সুমির (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- শ্বাসরোধ করে ওই দু’জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সোহেল ওই বৃদ্ধার পালক ছেলে বলে জানা গেছে। তিনি ওই ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর রোড়ের ১১ নম্বর মো. আবুল কাশেমের বাসার চারতলার একটি ফ্লাটের দুই রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
তিনি বলেন, নিহত রহিমার স্বামী কুদ্দুছ মিয়া থাকেন যশোরে এবং রাশিদা বেগম নামে তাদের এক মেয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) রহিমার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যুক্ত হয় সুমি। তবে তার সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জানার চেষ্টা চলছে।
কৃষ্ণপদ রায় আরও বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। মরদেহ দু’টির ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাবে।
এদিকে খবর পেয়ে নিহত রহিমার মেয়ে মিরপুরের ওই বাসায় ছুটে আসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার মা এ বাসায় একা থাকতেন। আর তাকে দেখা-শোনার জন্য সোহেল নামে পালক একটি ছেলে মায়ের সঙ্গে থাকতো। আমার মা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের রোগী। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে সোহেল আমাকে ফোন করে জানান, যে আপা খালাম্মাকে আর কাজের মেয়েকে কারা যেন কুপিয়ে মারছে লোকে বললো। তখন আমি আমার স্বামীকে নিয়ে দ্রুত চলে আসি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে আমার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন মা আমাকে বলেছিলেন, সোহেল নাকি টাকা চুরি করছিল। এনিয়ে মন কষাকষিও চলছিল। আমরা ধারণা টাকা-পয়সার জন্য সোহেল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
** মিরপুরে ভবন থেকে বৃদ্ধা ও গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএমআই/এসআরএস