বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এমআরএ সম্মেলনকক্ষে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিমুল হাই’র হাতে সনদ তুলে দেন এমআরএ’র এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী।
এসময় অমলেন্দু মুখার্জী বলেন, আজ যারা সনদ পেলেন তারা যদি নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মালিক ভাবেন তাহলে ভুল হবে।
অমলেন্দু মুখার্জী আরও বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে অর্থপাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়ে সর্তক থাকবেন। যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকের সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেবেন। এমআরএর অনুমোদন ছাড়া মেয়াদী ও স্বেচ্ছা আমানত সংগ্রহ করবেন না। এতে যে কোনো সময় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। লাইসেন্স প্রদান ও বাতিল করার ক্ষমতা এমআরএর হাতে রয়েছে। প্রথম দফায় লাইসেন্সপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে ১১৮টি বাতিল করা হয়েছে। দু’একটি প্রতিষ্ঠান বদনামের ভাগিদার হওয়ায় তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অনেককে সতর্কও করা হয়েছে।
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিমুল হাই বলেন, আমরা বাংলাদেশে নতুন ধারা প্রবর্তন করেছি। একেবারে তৃণমূলের নারীদের ঋণ দিচ্ছি। বসুন্ধরা গ্রুপ এখান থেকে ফান্ড নেবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ মনে করে সমাজে প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধ থেকেই অপারেশন চালিয়ে যাবো। বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়মিতভাবে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনকে অর্থায়ন করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে, এই আশ্বাস তারা দিয়েছে। ফান্ড ফেরত নেওয়ার মানসিকতা বসুন্ধরা গ্রুপের নেই। কারণ আমাদের কোনো কাস্টমার ফাউন্ডেশনের সুবিধা পায় না।
তিনি আরও বলেন, মাইক্রোক্রেডিট পরিচালনাকারী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে আমাদের কিছু তফাৎ আছে। আমাদের কনসেপ্ট হলো সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে আমরা কোনো সুদ নেই না। সার্ভিস চার্জ ছাড়া কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা বলেছি, কোনো প্রতিষ্ঠান সার্ভিস চার্জ ছাড়া সেবা দিতে চাইলে সেই সুযোগ দিতে আইন সংশোধন করুন। সনদ পাওয়া আমাদের জন্য সোনালি মুহূর্ত। এর মাধ্যমে আমরা মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছি।
‘বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ২০০৫ সাল থেকে দেশব্যাপী সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ, ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য দিয়ে আসছে। ’
২০০৬ সালে এমআরএর যাত্রা শুরুর পর থেকে চলতি বছরের জুন শেষে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিওর সংখ্যা ৭২৪টি। নতুন করে সনদ দেওয়া হলো আরও ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে।
ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সনদ বিতরণের পাশাপাশি সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে অথরিটি ও ক্ষুদ্রঋণ সেক্টর সর্ম্পকে সাবির্ক ধারণা, এমআরএ আইন, বিধিমালা এবং সার্কুলার, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, শুদ্ধাচার চর্চা, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের রির্পোটিং, ক্রয় নীতিমালা এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সর্ম্পকে ধারণা দেন এমআরএর বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এসই/এফএম/এএ