বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুবি বলেন, জনগণের সেবা করার আশায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে নির্বাচনের মাত্র ২৬ দিন আগে আমার ছেলে এবং স্বামী নূরুল ইসলাম রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক রহস্যজনক দহনের শিকার হয়ে নিহত হন।
‘২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোনো তদন্ত ছাড়াই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বৈদ্যুতিক সংযোগের শর্ট সার্কিটজনিত দুর্ঘটনায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ফলে নূরুল ইসলাম ও তমোহরের মৃত্যু হয়েছে। অথচ ঘটনাস্থলে যারা গিয়েছেন তারা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের দেওয়া শর্ট সার্কিট তথ্যটি একেবারে অবিশ্বাস করেছে। এরইমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের শর্ট সার্কিটের তত্ত্বকে নাকচ করে দিয়ে সরকারি সংস্থা ডিপিডিসি। সংস্থাটি রিপোর্ট দিয়েছে ওই ফ্ল্যাটে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেখানে আগুনের শিখাও দেখা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তদন্তকারী দল বলছে ওখানে শর্ট সার্কিট হয়নি। ’
তিনি আরও বলেন, হত্যার ১১ বছর পার হয়েছে। আমরা আশা করছি নূরুল ইসলাম ও তমোহরের হত্যার এক যুগ পার হওয়ার আগেই একটি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার পাব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, হাজারীবাগ ট্যানারি ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি/