বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে পাকশি বিভাগীয় দপ্তরের কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে দপ্তরের আওতায় ঈশ্বরদী জংশনসহ রাজশাহী, খুলনা, রাজবাড়ী, সান্তাহার, পার্বতীপুর ও লালমনিরহাট একযোগে এ সেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী শ্রী সুশীল কুমার হাওলাদার।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ গার্ড কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী মাহফুজুল হাসান, পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম।
এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলাম বাবু, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মহিউল ইসলাম, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান ইসলাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-পরিদর্শক মিয়া মো. আল মামুন, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শুধু সাত দিনের জন্য সেবা নয়। রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী যেখানেই দায়িত্ব পালন করবেন, সেখানে থেকে তা যথাযথভাবে পালন করলে যাত্রীদের টেনে চড়ার আগ্রহ বাড়বে এবং রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনেয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ট্রেন যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে ট্রলি করে প্রত্যেক স্টেশনে গিয়ে যাত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন রেলকর্মকর্তারা। অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নোট করে তা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক আহছান উল্লা ভূঞা বাংলানিউজকে জানান, ৪ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ এক সপ্তাহ সেবা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হবে। রেলওয়েতে সমস্যা কী আছে, সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়- এসব বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলবে টিমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএইচ