ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীর ৯০ শতাংশ দোকানে এখনও তামাকের অবৈধ বিজ্ঞাপন!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
রাজশাহীর ৯০ শতাংশ দোকানে এখনও তামাকের অবৈধ বিজ্ঞাপন!

রাজশাহী: চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগরীতে তামাক কোম্পানিগুলোর পরিবেশক ও মালিকদের সব ধরনের তামাকের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু এখনও মহানগরীর তামাকপণ্য বিক্রির ৯০ শতাংশ দোকানে প্রদর্শিত হচ্ছে তামাকের বিজ্ঞাপন।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) মহানগরীর এক রেঁস্তোরার সম্মেলন কক্ষে দাতা সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহযোগিতায় রাজশাহীর উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) পরিচালিত ‘তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা’ শীর্ষক এক জরিপের প্রতিবেদন উপস্থাপনের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
 
এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিফাতুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক শরীফ সুমন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, এডিসির ডিরেক্টর (ফিন্যান্স) পংকজ কর্মকার, প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা রাণী বিশ্বাস, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহানগরীর দু’হাজার ৭৩৬টি তামাকপণ্য বিক্রির দোকানের মধ্যে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪২৪টি দোকান পরিদর্শনের মাধ্যমে এ জরিপ করা হয়। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ দোকানেই তামাকপণ্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হচ্ছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাজশাহীর মোট দু’হাজার ৭৩৬টি তামাকপণ্যের দোকানের মধ্যে এক হাজার ৭১১টি (৬২.৫৩ শতাংশ) দোকানের কোনো লাইসেন্স নেই।

জরিপের ফল সম্পর্কে জানানো হয়, জরিপের জন্য নির্বাচিত তামাকপণ্যের দোকানগুলোর মধ্যে তামাক কোম্পানিগুলোর অবৈধ পোস্টার/স্টিকার/সাইনবোর্ড/ব্যানার ৪৯.৮০ শতাংশ দোকানে; ডামি প্যাকেট/খালি প্যাকেট ৫২.০১ শতাংশে; তামাকপণ্য বিক্রয়ের বক্স/শোকেজ ১৬.১৭ শতাংশে; কোনো কাঠামোর ওপর ব্র্যান্ডের ছাপ ১২.৩ শতাংশ ও ফ্লাইয়ার/লিফলেট/পেমপ্লেট  ২.৪০  শতাংশ দোকানে পাওয়া যায়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিফাতুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে রাজশাহীতে মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। তামাক কোম্পানির অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আগামীতে আরও বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
এ সময় রাজশাহীকে ধুমপানমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের বেশি বেশি সংবাদ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ তামাক কোম্পানিগুলো তামাক আইন লঙ্ঘন করে মৃত্যুর বিপনন করছে।  

তামাক কোম্পানিগুলো যাতে রাজশাহীতে তাদের অবৈধ বিজ্ঞাপন ও প্রচার-প্রচারণা চালাতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।