গত ২ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করে পরিপত্র জারি করা হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের উপযুক্ত প্রতিনিধি (পুলিশ সুপারের পদমর্যাদার নিচে নয়), পাবলিক প্রসিকিউটর (আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
এই কমিটি থানা বা আদালতে মামলা দায়ের ও অভিযোগ তদন্ত সংক্রান্ত পর্যালোচনা করবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পন্ন চাঞ্চল্যকর, লোমহর্ষক, গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো দ্রুত তদন্ত সংক্রান্ত আলোচনা, বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক হাজতিদের মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে পর্যালোচনাও করবে কমিটি।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সংগ্রহ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিটি।
জরুরি পরিস্থিতিতে জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা এবং প্রয়োজনবোধে সভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও এ সংক্রান্ত কার্যাবলি সমন্বয়ের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের সাজা শেষে কারাগার থেকে মুক্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে জেলার বিভিন্ন আদালতে অনিষ্পন্ন মামলা, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিষয়, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি ও গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী কমিটি অন্য যেকোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
প্রতিমাসে কমিটিকে কমপক্ষে একটি সভার আয়োজন করার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, প্রয়োজনে কমিটি একাধিক সভা করবে।
সভার কার্যবিবরণী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগে পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএ