যুদ্ধকালীন সময়ের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মিত্র বাহিনীর আক্রমণে পরাজিত হয় পাকস্তানি হানাদার বাহিনী। পরে হানাদার সেনারা ছুটে আসে শ্রীবরদীর দিকে।
এলাকার লোকজন ভয়ে ঘর-বাড়ি ফেলে ছুটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ে। অবশেষে এ যুদ্ধে নিহত হন মেজর আইয়ুবসহ পাকিস্তানি সেনারা। হানাদারদের পরাজিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ৬ ডিসেম্বর ভোরে শত শত মানুষ জড়ো হয় শ্রীবরদী-বকশিগঞ্জ সড়কে। সবার কন্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। সেসময় সেখান থেকে দলে দলে উচ্ছশিত মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধারা আসে শ্রীবরদী বাজারের পুরাতন হাসপাতাল মাঠে। এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওইসব মুক্তিকামী মানুষসহ মুক্তিযোদ্ধারা।
হানাদার বাহিনীর পরাজিত হওয়ার বর্ণনা দেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সী (বীর প্রতীক ‘বার’)। তিনি বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে এ দিন ছিল শ্রীবরদীর জন্যে বিজয়ের দিন। এ যুদ্ধে মেজর আইয়ুবসহ পাকিস্তানি সেনারা পরাজিত হওয়ার কারণে শেরপুর ও জামালপুরের হানাদার সেনারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
৬ ডিসেম্বর শ্রীবরদী হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এসআরএস