ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাল নয়, পেঁয়াজ নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
চাল নয়, পেঁয়াজ নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার

ঢাকা: কৃষকের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অন্যদিকে অপরিপক্ব অবস্থায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সেচ ভবনে কৃষকদের বাজারজাত করা সবজির হাট ‘কৃষকের বাজার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।  

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো দরকার নাই।

বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল রয়েছে। চাল নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। চালের বাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।

‘চালের বাজার নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। চিন্তা হতে পারে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়। এখন আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন, কৃষক যাতে তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়। খামারে যারা কৃষিকাজ করে তারা যেন সঠিক মূল্য পায়, এটিও আমাদের দেখতে হবে। এক মণ ধান করতে লাগে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। সেটা যদি ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়, কৃষকরা করবে? করবে না। এবার ৭০০ টাকা হয়েছে এটা আমাদের জন্য, বাংলার লাখ লাখ কৃষকের জন্য। তাদের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে।

বাজারে মোটা চালের চাহিদা নেই কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মোটা চাল বিক্রি করতে পারি না আমরা। ওএমএসের গাড়ি যায়, তারা চাল বিক্রি করতে পারে না, ডিলাররা এক টনও চাল তুলছে না। কোনো গ্রাহক নাই। মোটা চাল খারাপ তো কিছু না। পুষ্টির  দিক দিয়ে ভালো।  

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক পর্যায়ে ছোট ছোট পেঁয়াজ উঠিয়ে ফেলায় সরকার উদ্বিগ্ন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পেঁয়াজ এখনো বড় হয়নি। আরও অনেক বড় হওয়া দরকার। আমরা এটা নিয়ে শঙ্কিত আছি। সব ছোট ছোট পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছে। জানুয়ারি মাসে কী উপায় হবে? পেঁয়াজের উৎপাদন তো কমে যাবে। এবছর পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় আগামী বছর দেশে অনেক বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। এতে করে পরবর্তী বছর কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।  

তিনি আরও বলেন, যখন দেশে পেঁয়াজ উত্তোলন করা হয় তখন বিদেশি পেঁয়াজের আমদানির কারণে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারে না আমাদের কৃষকরা। তাই আমরা পেঁয়াজের মৌসুমে তা আমদানি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএএম/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।