শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস একথা বলেন।
বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’- শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতা মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত জুলিয়ান ফ্রান্সিস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত এলাকায় আমি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেছি। সে সময় মানুষের দুঃখ-দুদর্শা দেখেছি। ১৯৭১ সালে ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। তখন সাব্রুমের স্থানীয় নাগরিক ছিল মাত্র ৮-১০ হাজার। ওই শহরের দ্বিগুণেরও বেশি নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিল।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ পাওয়া জুলিয়ান ফ্রান্সিস বলেন, সম্প্রতি ফেনী নদী থেকে সাব্রুম শহরে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। আজ ঢাকার একটি পত্রিকায়ও এর সমলোচনা হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে এই পানি দেওয়ার বিরোধিতা অন্যায্য।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেত্রী অ্যারমা দত্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
টিআর/এএ