শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘খাদ্যে ভেজালকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ শিরোনামে এ মানববন্ধন হয়।
অ্যাডভোকেট ওয়েজ আহমেদ কায়সের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল আলম নোমান, দপ্তর সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন শুভ, অর্থ-সংগঠক সেলিম শাহরিয়ার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক ট্রেজারার অ্যাডভোকেট খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের হাজারও সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো খাদ্যে ভেজাল। খাদ্যে ভেজাল আজ আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহাদুর্যোগের নাম। অথচ মানুষের সুস্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার অতি জরুরি। ফলে বাংলার মাটি থেকে খাদ্যে জীবনসংহারী ভেজাল মেশায় যারা। তাদের দূর করতে হবে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে নানান ভীতি থাকায় এর বিরুদ্ধে সচেতন কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি। এতে করে দিন দিন খাদ্যে রাসায়নিক মেশানোর অশুভ প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর বদলে আইনের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজালকারীদের প্রতিরোধ করতে হবে, নয়তো আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি রেজাউল আলম বলেন, আমরা পুরো জাতিকে খাদ্যে ভেজালের মরণ থাবা থেকে বাঁচাতে লড়াই শুরু করেছি। আপনারা আপনাদের সন্তানদের জীবন নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে আমাদেন সঙ্গে যোগ দিন। আমরা খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। দেশবাসীর কাছে আমার প্রার্থনা আপনারা খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করুন। আপনাদের আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করবো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় এনে জাতির শত্রু খাদ্যে ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করুন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক ট্রেজারার খন্দকার গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষকে কিডনি রোগ, ক্যান্সারসহ নানাবিধ মরণব্যাধি থেকে রক্ষা করতে হলে খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আজকের এ মানববন্ধন থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দেমবাসভর কাছে আবেদন করবো, আমরা খাদ্যে ভেজালবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেছি, আপনারাও এগিয়ে আসুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
জিসিজি/এইচজে