শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত শিরিন আক্তার ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে মহিনের সঙ্গে শিরিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। মহিনের বাবা-মা বিয়ে মেনে না নেওয়ায় শিরিন বিয়ের পর থেকে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত কয়েক মাস ধরে একাধিকবার মহিন শিরিনকে নিয়ে সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে যেতেন। তখন মহিনের বাবা-মা তাদের মারধর করে বের করে দিতেন।
মৃত ওই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, গত শুক্রবার মহিনদের বাড়ি থেকে আসার পর রাত ৯টার দিকে মহিন ও শিরিন বাড়ির ছাদে ওঠে। কিছুক্ষণ পর মহিন শিরিনের বাবা দ্বীন মোহাম্মদের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানান- শিরিন ছাদের উপর ছটফট করেছে। পরে ছাদে গিয়ে অচেতন অবস্থায় শিরিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছাদে শিরিনকে একা পেয়ে মহিন জোরপূর্বক ইদুরের বিষ শিরিনের মুখে দিয়ে তাকে হত্যা করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার পর থেকে মহিন পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসম্বের ০৭, ২০১৯
এনটি