সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক অজয় রায় (৮৫)।
বরেণ্য এ শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
নেতারা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে অধ্যাপক অজয় রায়ের সম্পর্কের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে তার ছেলে বিশিষ্ট বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান শোক বিবৃতিতে বলেন, অজয় রায় সমাজে বিজ্ঞানমনস্কতা ও যুক্তিবোধ তৈরিতে এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা এ অধ্যাপকের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল ভাষা আন্দোলন ও ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানেও। তিনি ছিলেন শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার শোক বার্তায় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, মুক্তমনা, পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক অজয় রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
নেতারা বলেন, মুক্তমনা, মনিষী অজয় রায়ের মৃত্যুতে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়। জাতি তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক অজয় রায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এ শিক্ষাবিদ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় তাঁর অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন নেতারা।
অজয় রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার এক বিবৃতিতে বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং শিক্ষা আন্দোলনসহ সব প্রগতিশীল আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছেন দেশের মানুষ তা কখনোই ভুলবে না।
এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন অজয় রায়ের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলে, অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে। মরদেহ দানের মাধ্যমে তিনি মৃত্যুর মধ্য দিয়েও বিজ্ঞান মনস্কতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বাক্ষর রেখে গেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
আরকেআর, এইচজে