ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এ ফুল শ্রদ্ধার ও ভালোবাসার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এ ফুল শ্রদ্ধার ও ভালোবাসার অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে এসেছিলেন সর্বস্তরের মানুষেরা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: একজন মানুষের জন্য সবাই এসেছিলেন। যিনি কোনো তারকা নন। কিন্তু তার আলোয় আলোকিত হয়েছেন অনেকেই। সেই অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে এসেছিলেন সর্বস্তরের মানুষেরা। আর তাদের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় নিলেন দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক অজয় রায়।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে অধ্যাপক অজয় রায়ের নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় এ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজনে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

আরও পড়ুন>>অজয় রায়ের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার বেইলি রোডস্থ বাসভবনে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শুরুতেই সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অজয় রায়ের নাগরিক শ্রদ্ধানুষ্ঠান। যাতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ, চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম প্রমুখ। অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ফুল নিয়ে এসেছিলেন সর্বস্তরের মানুষেরা।  ছবি: জিএম মুজিবুরআওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শামসুন্নাহার চাঁপা, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

এর পাশাপাশি বাংলা একাডেমির পক্ষে মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষে সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, ওয়ার্কার্স পার্টি, যুব মৈত্রী, ঐক্য ন্যাপের পক্ষে পংকজ ভট্টাচার্য, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), আদিবাসী ফোরাম, বাসদ (খালেকুজ্জামান), হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, ন্যাপ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শেষ এ নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আরও পড়ুন>>>অজয় রায়ের মরদেহ বারডেমে হস্তান্তর

শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। সেখানে বিভাগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে।

অজয় রায়ের ছেলে অনুজিৎ রায় জানান, অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে।

অধ্যাপক অজয় রায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন>>>‘দাদার হত্যাকারীর বিচার দেখে গেলে বাবা স্বস্তি পেতেন’

বাংলাদেশ সময় ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।