এবার সাজেক থেকে পর্যটকদের ব্যবহৃত প্রায় ৫০ হাজার পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করেছে বিডি ক্লিন-খাগড়াছড়ি। সংগঠনটির সদস্যরা টানা ১০ দিন সাজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে পরিত্যক্ত বোতলগুলো সংগ্রহ করে।
সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছে বিডি ক্লিন-খাগড়াছড়ির সদস্যরা। তারই অংশ হিসেবে সাজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ইভেন্ট করে সংগঠনটি। সদস্যরা জানান, সাজেক যাওয়ার পথে রাস্তার দু’দিকে গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল। যার ফলে সাজেক পাহাড়ের দু’দিকে পরিত্যক্ত বোতল ও পলিথিনের স্তূপ হয়েছে। প্রায় কটেজের নিচে ফেলানো হয়েছে বোতল ও পলিথিন।
অপরদিকে, খাগড়াছড়ির আলুটিলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ফেলা হচ্ছে এসব বর্জ্য। যা পরিবেশের জন্য হুমকি। মূলত অব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানান তারা।
বিডি ক্লিন-খাগড়াছড়ির সমন্নয়ক মো. শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাজেক ও খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ইভেন্ট করে প্রায় ৭৫ হাজার পরিত্যক্ত বোতল সংগ্রহ করেছি। সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ করেছি সাজেক থেকে। সাজেক যাওয়ার পথেও পর্যটকরা যেখানে-সেখানে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ফেলে যান। যা সাজেকের প্রত্যেকটি কটেজ, পাহাড়ের দু’দিকে ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ অপচনযোগ্য। এতে করে পর্যটন স্পটটি নিজের সৌন্দর্য হারাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এসব পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে শোপিস তৈরি করে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি কদমতলী এলাকায় শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী। মূলত স্থানীয়দের সচেতন করতে এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।
প্রদর্শনীতে দেখা যায়, বিভিন্ন রংয়ের পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র। যা উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বোতল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কলমদানি, ফুলের টপ, ডাস্টবিনসহ নানা শোপিস। এছাড়া প্রদর্শনীতে বোতলকে রিসাইক্লিং করে কিভাবে তেল, গ্যাস উৎপাদন করা যায় সেটির প্রতিকী প্রদর্শনী দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এডি/ওএইচ/