মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাশিয়ার নবভরোনেস পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সময় বন্ধুপ্রতিম দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এসময় ভারত-বাংলাদেশের উন্নতির সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দিক নিয়ে ম্যাক্সিম তার পর্যবেপক্ষণ ও মতামত জানান।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার রূপপুর এবং ভারতের তামিলনাড়ুর কুদালকুলামে রাশিয়ার প্রযুক্তি ও সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এই দুই দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ তত্ত্বাবধানে ভারতের মুম্বাই থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন ম্যাক্সিম। পেশায় প্রকৌশলী ম্যাক্সিম ইতোমধ্যে চারবার পেশাগত কাজে বাংলাদেশ গিয়েছেন। সেখানকার পরিস্থিতি, চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, এমনকি বর্তমানে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কেও অবগত তিনি। তার মতে, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশের বিভিন্ন দিকে উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি। বিশেষ করে ঢাকায় নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এই রুশ প্রকৌশলী।
ম্যাক্সিমের মতে, বাংলাদেশ ও ভারত উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে সন্দেহ নেই। কিন্তু দুই দেশেরই প্রধান সমস্যা জনসংখ্যা ও যানজট।
এসময় বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বিশেষ অগ্রগতির দিক সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত এবং পরাশক্তি রাশিয়ার নাগরিক ম্যাক্সিমের দ্রুত মন্তব্য, সফটওয়্যার প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত অনেক এগিয়ে গেছে।
রোসাটসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের একটি সাংবাদিক প্রতিনিধি দল রাশিয়ায় অবস্থান করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে ভারত থেকে এসেছেন ম্যাক্সিম। তার সঙ্গে গত দু’দিনে গাড়িতে কয়েকশ’ কিলোমিটির পথ চলায় কোনো জায়গায় সামান্য যানজটে পড়তে হয়নি। ১০ ডিসেম্বর দিনব্যাপী নবভরোনেন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের পর সন্ধ্যায় হোটেলে ফেরার সময় প্রতিনিধি দলের গাড়ি ৩০ সেকেন্ডের মতো থেমে থাকে। এর কারণ হিসেবে রোসাটমের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলিনা জানান, বিকেল ৫টায় অফিস ছুটি হয়েছে, তাই এটুকু দাঁড়াতে হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/একে