সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কামারখন্দ-ভুতগাছা আঞ্চলিক সড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী এলাকায় মনিরপুরে ছোট্ট কালভার্টটির দুদিকের দুটি রেলিং বছরখানেক আগেই ভেঙে পড়েছে। মাঝখানের টপ স্লাবটি পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল খালেক, কলেজছাত্র সোহেল রানা ও আমিনুল ইসলাম, ভ্যান চালক রফিকুল ও অটোরিকশাচালক মোকতেল হোসেনসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামারখন্দ-ভুতগাছা সড়কটি অত্যন্ত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ। উল্লাপাড়া ও কামারখন্দ উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ নিয়মিত চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে।
এছাড়াও বেলকুচি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের বিভিন্ন যানবাহনও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ সড়কের মনিরপুর সেতুটি পার হয়েই উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী, সলপ, বড়হর, কামারখন্দের জামতৈল, রায়দৌলতপুর ও ভদ্রঘাট ইউনিয়নে যাতায়াত করতে হয়। পুরাতন ও জীর্ণ এ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও প্রয়োজনের তাগিদে এ পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে।
জামতৈল গোডাউন মোড় এলাকার অটোরিকশা চেইন মাস্টার মানিক মিয়া জানান, এ সড়কে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করে। সব যানবাহনের চালককেই আতঙ্ক নিয়ে মনিরপুর এলাকার জীর্ণ ওই কালভার্টটি পার হতে হয়।
ট্রাক চালক শরীফুল বলেন, এ পথে নিয়মিত মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মনিরপুর কালভার্টের কাছে এসেই গাড়ির গতি কমিয়ে দেই। খুব ধীরগতিতে গাড়ি চালিয়ে পার হই। গাড়ি উপরে উঠলেই কেঁপে ওঠে কালভার্টটি।
পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন বলেন, প্রায় বছর খানেক আগে কালভার্টের রেলিং ভেঙে গেছে। এর নিচের পাটাতনেও ফাটল ধরেছে। কালভার্টটির ঠিক মাছখানে দেবে গেছে প্রায় ৬ ইঞ্চির মতো। এর ফলে খুব আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে দুই উপজেলার মানুষ।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ৬ মিটার দীর্ঘ এ কালভার্টটি অনেক বছর আগে নির্মিত হয়। এর টপ স্লাবের মাঝখানের কিছু অংশ দেবে গেছে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সেখানে সাইনবোর্ড টানিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল না করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কালভার্টটি নতুন করে নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া শেষ। আশা করছি চলতি মাসেই এটির কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
আরএ