পদ্মায় সূর্যের দেখা মিললেও বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার উপস্থিতি ছিল।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৩ হাজার ১৪০ টন স্প্যানটিকে বহন করে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেন।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি পজিশনিং করে নোঙর করার প্রস্তুতি চলছে। নির্ধারিত দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান নিয়ে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। রাখা হবে দুই পিলারের বেয়ারিং এর উপর। এরপর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের স্প্যানের একটি অংশের সঙ্গে ঝালাই করা হবে। ১৭তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিনের মাথায় বসানো হচ্ছে ১৮তম স্প্যানটি।
জানা যায়, পদ্মাসেতুতে মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ৪১০টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি বসানো শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ১৭টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে।
৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টীল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বসছে ১৮তম স্প্যান, দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতুর ২৭০০ মিটার
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসএইচ