তিনি বলেন, সঠিক উপায়ে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা না করলে ভবিষ্যতে ঢাকা শহর পরিবেশ ও নদীদূষণে অযোগ্য হয়ে যাবে। এজন্য আমরা দাশেরকান্দি ছাড়া পাগলা, মিরপুর, উত্তরা ও রায়ের বাজারে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর নির্মাণাধীন দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের সুপারভিশন প্রকল্প। এটা চালু হলে সব সুয়ারেজ এখানে এনে পুড়িয়ে ফেলা হবে। সেই লক্ষ্যে নেটওয়ার্ক পাইপ লাইন স্থাপনের কাজও শিগগিরই শুরু হবে। এটা চালু হলে নদী ও পরিবেশ দূষণ কমে আসবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার যে বায়ুদূষণ, সরকার দায়িত্ব এড়াতে পারবে না। সেটি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখন ঢাকা ওয়াসা ৯০ শতাংশ মানুষকে সুপেয় পানি দিচ্ছে। হাইকোর্টের একটি আদেশে ৩৬টি এলাকার পানি পরীক্ষার মাধ্যমে ২৬টি এলাকাতেই সুপেয় পানি পাওয়া গেছে।
সরকারের উন্নয়ন ও ভালো কাজগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভালো কাজ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মানুষ এসেতো আর প্রকল্পে কাজ করবে না, তাদেরকে সরকার বলবে না কাজ করো, তারা যদি উন্নয়ন দেখে সরকারকে সমর্থন করে, তাদের মানসিক সমর্থন আমাদের উৎসাহ যোগাবে। জনগণের মানসিক সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কীভাবে ঢাকা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করা যায়, আমরা তার মহাপরিকল্পনা নিয়েছি। এই অপরিকল্পিত শহরকে দূষণমুক্ত করা কঠিন কাজ। তারপরও মহাপরিকল্পনা তৈরি করে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ করা হবে। তাহলে খোঁড়াখুঁড়ির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে জনগণ। বায়ু দূষণ কমে আসবে।
মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিন্তু তিনি তার স্বপ্নপূরণ করতে পারেননি। ঘাতকরা সপরিবারে তাকে হত্যা করে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খানসহ মন্ত্রণালয় ও ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
টিএম/জেডএস