মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা ছিল আমাদের রণধ্বনি। এ স্লোগান দিয়ে যুদ্ধ করে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল পৌরসভা আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানের প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রতিবেদন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ডাক্তার নই। এ ব্যাপারে বলতে পারবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা। সেখানকার চিকিৎসকরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত।
পরে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলকে হানাদার মুক্ত করেছিলেন। সেই যুদ্ধে একজন কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে তিনি আগের দিন রাতে টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর প্রশাসক আবু মোহাম্মদ এনায়েত করিম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুজ্জামান সোহেল প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনা সভা শেষে ভারতের শিল্পী মিতালী মুখার্জী গান পরিবেশন করেন।
এর আগে সকালে মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
আরএ