বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাজমুল হক।
আটকরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৪), রহমতাবাদ ষাড়ের কোনা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর ছেলে মানিক মিয়া (৩০) ও নরপতি গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে হারিছ মিয়া (৩৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বাসিন্দা ১০ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী তার বন্ধু সাকিমুল হাসান সাকিবের সঙ্গে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে আসে। এ সময় বনের মধ্যে থাকা ৬ যুবক সাকিবকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকার শুনে বনরক্ষীরা এসে তিনজনকে আটক করেন। পরে মেয়েটিকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাকিব নিখোঁজ ছিল।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাজমুল হক জানান, সাকিবকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ৫ যুবক মিলে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। পরে ছেলেটির মোবাইল রেখে তাকে বাসে উঠিয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। জড়িত তিনজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি তিনি আরও জানান, সাকিবের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল গ্রামে। সে ঢাকায় চাকরি করতো। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এর ধারাবাহিকতায় দু’জন সাতছড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
আরএ