ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাড়ি গিয়ে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা জানালেন ডিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
বাড়ি গিয়ে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা জানালেন ডিসি

বরিশাল: স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্মাননা জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতি বছরের মতো বরিশাল জেলা প্রশাসন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা, মিষ্টি, পোশাক এবং কম্বল দেওয়া হয়।  

বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌহিদুজ্জামান পাভেল, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক, বরিশাল সদরের সহকারী কমিশনার (ভুমি) মেহেদী হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল, আসমা জাহান সরকার, মনিরা খাতুন, সুব্রত বিশ্বাস দাস, হেলাল উদ্দিন খান প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোখলেছুর রহমান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এ এম জি কবির ভুলু, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান হাওলাদার, কাওছার আহমেদ, আমির আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মাসুম প্রমুখ।

জানা গেছে, বরিশালে কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দশজন করে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।  

এরই ধারাবাহিকতায় এবারেও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সম্মাননা জানানো হয়।  

এবার যে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হলো তাদের মধ্যে ৬ জন বরিশাল মহানগরের ও ৪ জন বরিশাল সদর উপজেলার বাসিন্দা।

এরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হক চৌধুরী খোকা, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বাশার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এ এম জি কবির ভুলু, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রেজায়ে রহিম ফেরদৌস, মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম নান্নু, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস সালাম ছালাম ফকির, মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেন্ট অফিসার অবসরপ্রাপ্ত এমএ মালেক, মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান (বিজিবি), মুক্তিযোদ্ধা মৃত হারুন অর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দীন ফকির।  

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম জি কবির ভুলু বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে এই প্রথম রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা আমাদের দুয়ারে এসেছেন এটাই পরম পাওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।