বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অসুস্থ এক শ্রমিককে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আরও দুইজনকে।
রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো ওই অসুস্থ শ্রমিকের নাম আব্দুল গফুর। তিনি রাজশাহী জুট মিলের মেকানিক্যাল বিভাগে চাকরি করেন। হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সহকর্মীরা তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে ঘোষিত ১১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে বলে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাজশাহীর পাটকল শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছেন, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরা তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। এ কারণে তারা প্রয়োজনে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মিলগেটে অনশন চালিয়ে যাবেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় তাদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আবারও সরকারপক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটা থেকে আন্দোলন শুরু করেন পাটকল শ্রমিকরা। রাজশাহী পাটকল মিলগেটের সামনে কাঁথা-বালিশ নিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। তবে শীতের কারণে পাটকল শ্রমিকদের অনেকেই এখন ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
রাজশাহী পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনায় বসেন। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো পাটকল শ্রমিক বাড়ি ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এই শ্রমিক নেতা।
তিনি জানান, এই শীতের মধ্যে টানা অনশনে থাকার কারণে তাদের অনেক শ্রমিকই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এক শ্রমিককে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও দু’জনকে এখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেকেই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরপরও দাবি আদায়ে আন্দোলন চলবে বলে জানান এই শ্রমিক নেতা।
জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ গ্রাচ্যুইটির টাকাসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে এ গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহীর পাটকল শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এসএস/এসএ