বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) লন্ডন মিশনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উদযাপনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ আইটি ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা এই ফ্রিল্যান্সারদের কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সাথে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অনেক জোরদার করতে পারেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন আগামী বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সাথে আইটি সেক্টরে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে। এ সমঝোতা স্মারকের জন্য বাংলাদেশি-ব্রিটিশ আইটি পেশাজিবীদের কাছ থেকে তিনি পরামর্শ আহবান করেন। হাইকমিশনার আশা করেন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর দু‘দেশের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো গভীর ও সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের দ্বার উম্মেচিত হবে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ সরকার আইটি ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এসব প্রণোদনা নিয়ে তাদের ব্যবসায়ের লাভ ও প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়াতে পারেন।
এ বছরে আইটি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য- 'সত্য-মিথা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে‘ এর ওপর আলোচনায় তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব তথ্য ও খবরা-খবর আদান-প্রদান করা হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকই ভিত্তিহীন। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনোকিছু শেয়ার করার আগে তার সত্য-মিথা যাচাই করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ আইটি পেশাজীবি ও আইটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন। যুক্তরাজ্য মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ও অর্জনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
টিআর/এমএমএস