ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পিআরসি কনফারেন্সে জিয়াউদ্দিন আদিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
পিআরসি কনফারেন্সে জিয়াউদ্দিন আদিল

ঢাকা: কনভেনশনাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মিডিয়ার বাইরেও এখন প্রতিটি ব্যক্তি, প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারী মিডিয়া হিসেবে ভূমিকা রাখছে। আর ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ এই ব্যক্তি মিডিয়াকে পর্যবেক্ষণ করা বলে জানিয়েছেন মাস্টহেড পিআর ও টপ অব মাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী (সিইও) জিয়াউদ্দিন আদিল। 

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লির হোটেল সাংরিলায় অনুষ্ঠিত বিশ্বের সেরা পিআর (জনসংযোগ) প্রতিষ্ঠান এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত পিআর অ্যান্ড করপোরেট কমিউনিকেশনস কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকালে এ কথা বলেন তিনি।

এ সম্মেলনের আয়োজন করে দক্ষিণ এশিয়ার খ্যাতনামা মিডিয়া গ্রুপ এক্সচেঞ্জ ফর মিডিয়া।

কমিউনিকেশন কৌশল এবং লক্ষ্য কিভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং তার প্রভাবের পরিমাপ করার ক্ষেত্রে কমিউনিকেশনের ভূমিকা শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জিয়াউদ্দিন আদিল।  

কিভাবে ক্যাম্পেইন কমিউনিকেশনকে পরিমাপ করা যায়? এমন এক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। তবে পুরোপুরি ভিন্ন বলা যাবে না। ২৫ বছর বয়সের নিচে এখানকার জনগোষ্ঠী ৬০ শতাংশের বেশি। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তরুণ প্রজন্ম এখন বাংলাদেশে। কনভেনশনাল মিডিয়া, ডিজিটাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মিডিয়া পরিমাপ করা যায়। কিন্তু যখন মিডিয়া ব্যক্তিপর্যায়ে চলে এসেছে, সব ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মিডিয়া হয়ে উঠেছেন, তখন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা কমিউনিকেশনকে সঠিক রাখতে কিভাবে ব্যবহারকারীদের পরিমাপ করবো বা মনিটর করবো। তাই যখন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটবে তখন এটা বড় চ্যালেঞ্জ পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এ মিডিয়াকে মনিটর করা। তবে এ ধরনের কিছু ঘটার আগেই আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। তাই মিডিয়া এখন শুধুমাত্র প্রকাশনার সংখ্যা নয়। এখন প্রতিটি ব্যক্তিই মিডিয়া। তাই ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ এ মিডিয়াকে পর্যবেক্ষণ করা।

এসময় বাংলাদেশের পিআর ও কমিউনিকেশনস ইন্ডাস্ট্রির বিবর্তন, মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জিয়াউদ্দিন আদিল।  

ইনডিপেনডেন্ট কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট অনুপ শরমার সঞ্চালনায় এ প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন-ক্রসহেয়ার কমিউনিকেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্তুতি জালান, অ্যালিসন পার্টনারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রনব কুমার, এভিয়ান উইয়ের অ্যাক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গিরিস হারিয়া এবং কমউইসারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমান আব্বাস।

সত্যতা, বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতাকে কমিউনিকেশনের তিনটি মৌলিক বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন বক্তারা।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ডিজিটাল ও সোশ্যাল পিআর, পলিটিক্যাল পিআর এবং ভবিষ্যতে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে উঠে আসে। এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পিআর ও করপোরেট কমিউনিকেশনস এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের শতাধিক নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া, শিব সেনার মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও বহুজাতিক শিল্প সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরই জিয়াউদ্দিন আদিলকে পার্সন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক নিউজ এজেন্সি এশিয়া ওয়ান। পিআর অ্যান্ড করপোরেট কমিউনিকেশনস ইন্ডাস্ট্রি সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।