ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিকশা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিকশা সিএনজির দীর্ঘলাইন। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় প্রায় ছয় থেকে সাত শতাধিক অবৈধ ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স না থাকলেও সড়কে এসব যান নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অদক্ষ চালকরা।

এ অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রীদের। প্রশাসনের মনিটরিং টিমের চোখের সামনে দিয়ে চলছে এসব গাড়ি।

ইজিবাইক ও সিএনজির বিপরীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির লাইসেন্স নেই এসব যানের। রাস্তায় চলাচলের দক্ষতা তাদের নেই, অথচ অজ্ঞাত কারণে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা সাটুরিয়া উপজেলার আনাছে-কানাছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সাটুরিয়া সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে তিনটি রোড দিয়ে প্রায় ছয় থেকে সাত শতাধিক অবৈধ ইজিবাইক ও নম্বর প্লেটবিহীন সিএনজি থানা ও উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব যানের যেমন নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র ঠিক তেমনি তাদের রাস্তায় চলাচলের জন্য বিআরটিএ’র লাইসেন্সও নেই। শুধু ম্যানেজ করেই চলছে এসব যানবাহন। অধিকাংশ সিএনজিচালকই ১৬-২৬ বছর বয়সি। এ অদক্ষ চালকের কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ রাস্তায় চলাচলরতদের। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর যথাযথ নজরদারির অভাব রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকেই।

আরিফ মিয়া নামে এক কলেজছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কলেজের সামনে দিয়ে যেভাবে সিএনজিগুলো চলে, মাঝেমধ্যেই  দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। এই সিএনজিগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই। তাদের রাস্তায় চলাচলের জন্য যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন তারা সেটা না মেনেই অবৈধভাবে এসব যানবাহন চালাচ্ছেন।

মরিয়ম নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাই। যাতায়াতের পথে সিএনজির কারণে রাস্তা পার হতে ভয় লাগে। কারণ গত কয়েকদিন আগে মেয়ের স্কুল ছুটি হয়েছে রাস্তার সাইড দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলাম, দুইটি সিএনজি পাল্লাপাল্লি করে আসছিলো এবং কেউ কাউকে সাইড দিচ্ছিলো না একপর্যায়ে আমার ছোট মেয়েটাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো। কীভাবে রাস্তায় চলতে হবে, স্কুল-কলেজের সামনে কীভাবে চালাতে হবে এটা ওদের জানা নেই। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বিশেষভাবে প্রয়োজন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চালক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একাধিকবার গাড়ি ও নিজেদের লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ’র অফিসে গিয়ে দেখি যে, দীর্ঘলাইন আর দালালের খপ্পর তা দেখে আর কাগজপত্র করিনি। এছাড়া গাড়ি চালালে তো কেউ কিছু বলে না, এজন্যে আর করেনি। সুপারভাইজার রেখেছি এবং প্রতি ট্রিপে ওকে কিছু টাকা দেই, ওই সবকিছু ম্যানেজ করে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ইজিবাইক ও নম্বরপ্লেটবিহীন সিএনজির এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের বিষয়টি শুনেছি এবং দ্রুত বিষয়টি দেখে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।