শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জ শহরসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোতে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়েছে। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে পুরো শহর।
শহরের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, কুয়াশা আর শীতের কারণে ১২টার পর দোকানে এসেছি। শরীর কেটে নেওয়া বাতাসের কারণে দোকানেও বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। শীতের কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ছে না।
রিকশাচালক বিপ্লব বলেন, এই শীতে রিকশা চালানো খুবই কষ্টকর। কিন্তু পেটের দায়ে কাজ না করে তো উপায় নেই। তবে শহরে মানুষের সংখ্যা কম। তাই ঠিকমত যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের অবজারভার মো. ফজলুল হক বলেন, সকালে তাড়াশে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিল ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, দুস্থ শীতার্ত মানুষের জন্য ইতোমধ্যেই ৫০ হাজারেরও বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে ও ব্যক্তি উদ্যোগেও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
আরএ