ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইসির নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা: তাজুল ইসলাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ইসির নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা: তাজুল ইসলাম

ঢাকা: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পোস্টার-ব্যানার লাগানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, পোস্টার-ব্যানার সরানোর কাজটি স্থানীয় সরকার শুরু করেছে। তবে অনেকে এখনও ইসির নির্দেশনা জানে না।

তাই পোস্টার লাগাচ্ছে। আমাদের কর্মকর্তারা রোববার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে গিয়ে মনিটরিং ও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের (সিডিজেএফবি) তৃতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক (২০২০-২১) অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম ফয়েজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

তাজুল ইসলাম বলেন, নগড়ের সব সমস্যা চিহ্নিত করে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা অনেক প্রতিযোগিতা পেরিয়ে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছেছি। এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। এ জন্য আমাদের কম খরচে চলতে হবে। তাই নগর আলোকিত করতে এলইডি লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ধুলাবালি ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, এই ঢাকা সিটি জন্মলগ্ন থেকেই অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হয়েছে। ফলে আমাদের পানি, গ্যাসসহ সব ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ঢাকা সিটির পোস্টার-ব্যানার সরানোর জন্য ইসি থেকে চিঠি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে যেগুলো আমাদের ওপর পড়ে, সেগুলো আমরা অবশ্যই বাস্তবায়ন করব। আমরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পড় থেকে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারের কাছে যেসব বিষয়ের সহযোগিতা চেয়েছে, আমরা সব বিষয়ে সহযোগিতা করছি।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের শহর পরিষ্কার করা হয় সনাতন পদ্ধতিতে। এতে ধুলাবালি নিঃসরণ হয়। অনেকে বলে ঝাড়ু দেওয়ার সময় পানি দিতে। তাতেও কমে না। এজন্য ঢাকাকে ধুলাবালিমুক্ত করতে একটি কমিটি কাজ করছে। তারা দুই সিটির জন্য ২০টি সুইপিং ট্রাকের কথা বলেছে। উত্তর সিটির মেয়র একটি এনেছেন। এর একটার দাম ১০ কোটি টাকা হলে ২০ টার দাম ২০০ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয় পরিষ্কারের জন্য এ টাকা দিতে প্রস্তুত।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো নগরায়ণ। এ ক্ষেত্রে প্রথম সমস্যা যানজট। কবে এটা নিরসন হবে আমরা কেউ বলতে পারি না। তবে রিকশা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি কমাতে পারলে অনেকটা কষ্ট লাঘব হতো। যানজটমুক্ত, আরামদায়ক ও সুষ্ঠু একটি সিটি সবার চাওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।