ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেললাইনের ওপর পুরাতন কাপড়ের দোকান, ঝুঁকি নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
রেললাইনের ওপর পুরাতন কাপড়ের দোকান, ঝুঁকি নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা রেললাইনের ওপর পুরাতন কাপড়ের দোকান, ঝুঁকি নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমারে জেঁকে বসেছে শীত। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের পাড়ে জমে উঠা পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন।

যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিহত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। এর কোন প্রকার প্রভাব পড়েনি রেললাইনের উপরে পুরাতন কাপড়ের দোকানে। রেললাইনের স্লিপার ঘেঁষে ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকান গাদাগাদি করে বসেছে। এমনকি রেললাইনের উপরে ত্রিপল বিছিয়ে বসেছে পুরাতন কাপড়ের পসড়া। ট্রেন আসা যাওয়ার সময় দোকানিরা তড়িঘড়ি করে দোকান সরানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে করে ট্রেন চলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।

সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি চলে ওই রমরমা বেচাকেনা। ডোমার সদর এলাকার ক্রেতা পারভীন আক্তারের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, গত কয়েকদিনে তীব্র শীতের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে স্বল্প মূল্যে গরম কাপড় কিনতে এসেছেন।  তিনি বলেন, জ্যাকেট, সোয়েটারের পকেট থেকে মাস্ক ও টিস্যু পেপার পাওয়া যাচ্ছে। তাই ভয়ে ফিরে যাচ্ছি, বেশি টাকা লাগলেও গার্মেন্টেস থেকে কিনবো।

উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন থেকে আসা সন্তানের জন্য পুরাতন কাপড় কিনতে আসা সহিদুল ও তার স্ত্রী জানান, অল্প দামে শীতের কাপড় কিনতে এলাম কিন্তু ক্রেতারা গাদাগাদি করে বিদেশী কাপড় কিনছে, কারো মুখে মাস্ক নেই, মানছে না সামাজিক দুরত্ব। করোনার কথা ভেবে কাপড় না কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি যেহেতু এসব কাপড় থেকে মাস্ক ও টিসু পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে ওইসব বিদেশী পুরাতন কাপড় না কেনাই ভালো।

কাপড় বিক্রেতা আনজারুল জানান, যে সব কাপড়ের গাইটের জ্যাকেট ও কোটের পকেট থেকে মাস্ক ও টিস্যু পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কাউকে না দিয়ে ফেলে দেই।

কনিকা হলের পাশের পুরাতন কাপড়ের গাইট বিক্রেতা রেজাউল বাংলানিউজকে বলেন, সোয়েটার, জ্যাকেট ও কম্বল বাহিরের দেশের পণ্য, তাইওয়ান ও কোরিয়া থেকে আসে। তবে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ না নিলে যে কোন বড় ধরণের রেল দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ওই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান এই সপ্তাহের মধ্যে পরিচালনা করবো।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।