পটুয়াখালী: খ্রিস্টীয় নববর্ষকে বরণ করে নিতে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করেও সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠছেন তারা।
নতুন বছরের আগমনীর শুরুতে শুক্র ও শনি দুই দিন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে সৈকতে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগের থেকে কয়েকগুণ বেশি পর্যটক লক্ষ্য করা গেছে। করোনা মহামারি ও প্রশাসনের কড়াকড়ির মধ্যেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা।
তবে করোনা মহামারির কারণে এ বছর বর্ষবরণ উপলক্ষে সৈকতে কোনো ধরনের জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, রাখাইন পল্লি এবং শুঁটকি পল্লিসহ দর্শনীয় স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি। কেউ মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন। আবার কেউবা মেতে রয়েছেন গান, গল্প ও আড্ডায়।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সৈকতের বালুচরে ফোটানো হয় আতশবাজি, ক্যাম্প ফায়ার করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেকে। অনেকে আবার নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তোলেন সৈকত।
কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জমান সোহেল বলেন, করোনা পরিস্থিতি এবং সরকারের ঘোষিত নীতিমালা অনুসারে প্রতিটি হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান থেকে পর্যটকদের বিরত রাখা হয়েছে। পর্যটকরাও আমাদের সহযোগিতা করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক বদরুল কবির বলেন, কুয়াকাটা সৈকতের ১৮ কিলোমিটারের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে পুলিশের টহল এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সরকারি বিধি-নিষেধ অনুযায়ী পর্যটকদের সৈকতের কোথাও অনুষ্ঠান এবং জড়ো হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য সার্বক্ষণিক মাইকিং অব্যাহত রাখা হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, তেমন সম্ভাবনাও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জারুয়ারি ০১, ২০২১
আরএ