নীলফামারী: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়স্থল পাচ্ছে নীলফামারীর ৬৩৭ জন দরিদ্র পরিবার। সরকার প্রধানের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নীলফামারীর ছয় উপজেলার দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর আওতায় সরকারি খাস জমি নির্বাচন করা হয়। ইতোমধ্যে এসব ঘরের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ের দিকে। নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা প্রশাসক ও স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন।
এজন্য জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের জেলা কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রধান করে উপজেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে প্রথম ধাপে জেলার সদরে ৯৯টি,সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৪টি,জলঢাকা উপজেলায় ১৪১টি,ডোমার উপজেলায় ৩৮টি, ডিমলা উপজেলায় ১৮৫টি এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৪০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলার যেসব স্থানে সরকারের খাস জমিতে এসব আধাপাকা বসতঘর তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে দু’টি কক্ষ ও একটি করে বারান্দা,বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে। দুই শতাংশ জমির ওপর নির্মিতব্য প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ এক লাখ ৭১ হাজার টাকা করে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার হাজার করে টাকা।
এ প্রকল্পে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী,বিধবা,স্বামী পরিত্যক্তা,ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ভূমিহীন ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে।
বসতঘর নির্মাণে জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সরকারি কর্মকর্তা,প্রকৌশলী,রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাখা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন কাজের অগ্রগতি ও মান নিয়ন্ত্রণে কর্ম এলাকা পরিদর্শন করছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন,প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া এ প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দিতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২০
এসআই