মাগুরা: মাগুরায় ভায়না এলাকায় জোড়া মাথা লাগানো যমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের ভায়না এলাকায় মা প্রাইভেট হাসপাতালে যমজ শিশুর জন্ম হয়।
মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামের দরিদ্র কৃষক পলাশ মোল্লার স্ত্রী সোনালী বেগম এই যমজ শিশুর জন্ম দেন। দুই শিশুর চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিশুদের বাবা। শিশু দু'টিকে নজর দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ ওই ক্লিনিকে ভিড় জমাচ্ছিল। তাই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নবজাতক দুই মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান পলাশ। তবে স্ত্রী সোনালী ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, গর্ভের সন্তানের জটিলতা রয়েছে জেনে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে সোনালীকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পলাশ। তখন হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ পর রেহেনাকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী পলাশ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মাগুরায় চলে আসেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে সোনালীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকালে অস্ত্রোপচারে যমজ শিশুর জন্ম হয়।
চিকিৎসক মাসুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, জোড়া লাগানো শিশু দু'টি সুস্থ আছে। তবে তাদের মা অসুস্থ। জন্মের পর শিশু দুটি মায়ের বুকের দুধ পান করেছে। উন্নত চিকিৎসা ছাড়া এদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
যমজ শিশুর বাবা পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, নবজাতক দু'টি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি একজন অতিদরিদ্র কৃষক। তাঁর পক্ষে এই শিশু দুটির চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তার মধ্য আছেন। তাই সদ্যোজাত মাথা জোড়া লাগা দুই কন্যা শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ও দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
কেএআর