রাজশাহী: রাজশাহীতে মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন দুই গ্রামের মানুষ। এতে একজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে জেলার চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল ইসলাম (৫৫) চারঘাটের শিবপুর গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিন ওরফে হাকিমের ছেলে।
বিকেল ৩টার দিকে রেজাউলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল পুলিশ বক্স তার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দীঘলকান্দী গ্রামের দুই যুবককে আটক করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন আগে শিবপুর এলাকার কয়েকজন যুবককে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেন দীঘলকান্দী গ্রামের কয়েকজন যুবক। এ বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে মাইকিং করে দু'পক্ষই লোকজন জড়ো করতে থাকেন। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে ছুটে যান রাজশাহীর চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দীকি, চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম ও চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম।
তারা দু'পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন। হঠাৎ দীঘলকান্দী গ্রামের সবুজ আলী ও আবু শামা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিবপুর গ্রামের মানুষদের ওপর হামলা চালান। এতে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দেশি অস্ত্রসহ সবুজ ও আবু শামাকে আটক করে পুলিশ।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছিল। পরে থানা পুলিশ দু'পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে। এরইমধ্যে শনিবার আবারও সংঘর্ষ হলো।
ওসি আরও বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এসএস/আরবি