ঢাকা: অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রকল্পের কাজ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠা প্রত্যাশা করি। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া ছাড়া অর্থ পরিশোধ করলে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। প্রকল্পে প্রস্তাবিত মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে। প্রস্তাবে কোনো ধরনের অসংগতি মেনে নেওয়া হবে না। অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোন কিছু প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ইচ্ছেমতো শর্তজুড়ে দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭টি ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২টি প্রকল্পের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
এসময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও মো. তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
জিসিজি/ওএইচ/